1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৪৯ Time View

প্রত্যয় নিউজডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসক তিতাস মাহমুদ ফাইজারের ফেইজ থ্রি ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। তিতাস মাহমুদ বিখ্যাত নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমদের ছেলে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

সম্প্রতি এ বাংলাদেশি তার ফেসবুকে লিখছেন, ‘করোনা মহামারির শুরু থেকে সবাই অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে আমাদের ‘ফ্রন্ট লাইন হিরো’ বলে আসছেন। এই ঢালাওভাবে বলার ব্যাপারটিতে সত্যিই ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনোই আহ্লাদিত হইনি। কিন্তু আজ করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ‘‘ফাইজারের ফেইজ থ্রি ট্রায়াল’’ এর একজন সাবজেক্ট হতে পেরে নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে হচ্ছে’।

তিতাস মাহমুদ বলেন, ‘আমি যে হাসপাতালে কাজ করি, সেটি একটি রিসার্চ হাসপাতাল। এখানে প্রায় ৩০ হাজার লোক কাজ করে। আমাদের সবার কাছে একটি ই-মেইল করা হয়, ফাইজারের রিসার্চ সেন্টার সাড়ে ৫শ স্বেচ্ছাসেবক নেবে। ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়। আমি নিজ উদ্যোগে পরবর্তী খোঁজগুলো নিতে শুরু করি। তাদের প্রধানকে ফোন করে বলি- আমি অংশ নিতে আগ্রহী। তারা আমার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলা শুরু করে’।

তিনি বলেন, ‘ওরা প্রথমে আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলে আমার পার্সোনাল তথ্যগুলো নেয়, আমার কোনও রোগ আছে কিনা, কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করি কিনা। সেসব খুব জরুরি না, কারণ ফেজ-থ্রি ট্রায়ালে ওরা সবধরনের রোগীই থাকুক সেটা চায়। ১৮ থেকে ৮২ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি করা হচ্ছে। এরপর তারা আমাকে ই-মেইলে ২৬-২৭ পাতার একটি শর্তনামা পাঠায় যেখানে প্রধান হলো আমি একেবারেই স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিতে রাজি হয়েছি সেটা ঘোষণা দিতে হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘এরপরে তাদের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটরের সঙ্গে মুখোমুখি বসতে হলো। তিনি জানতে চাইলেন, এই শর্তনামার কোনও বিষয়ে আমার কোনো প্রশ্ন আছে কিনা, আমি যে কয়টি প্রশ্ন করেছি সেসবের উত্তর তিনি দিয়েছেন এবং আমি স্বাক্ষর করি। এরপরে আমার রক্তচাপ দেখা হয়। এরপর আমার কোভিড টেস্ট করা হয়। তখন আমি জানতে চাইলাম, পজিটিভ এলে আমি ট্রায়ালে অংশ নিতে পারব কিনা, সে সময় তারা আমাকে জানায়, পজিটিভ নেগেটিভের সঙ্গে নিতে পারা না-পারার কোনও সম্পর্ক নেই’।

এ বাংলাদেশি বলেন, ‘এসব ডাটা একটা জায়গায় কোড নেমে সংরক্ষিত হবে। যখনই আমি তাদের সাবজেক্ট হলাম, তখনই আমি আর তাদের কাছে কোনও ব্যক্তি না, কোড। এরপর আমার ২৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ রক্ত নেওয়া হলো অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য। সেটিও ডাটার কাজে লাগবে। অ্যান্টিবডির কোন পর্যায়ে আমার ট্রায়াল শুরু হচ্ছে সেটা বোঝার জন্য এই পরীক্ষা। এরপর আমাকে একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়। এভাবে আমি যুক্ত হই’।

তিনি উল্লেখ করেন, আগামী তিন সপ্তাহ পরে অক্টোবরের ৩ তারিখ আমার আরেকটি ভিজিট আছে। দুই বছর তারা আমাকে ফলোআপে রাখবে এবং তাদের সঙ্গে ছয়টি ভিজিট হবে। এর মাঝে আমার মোবাইলে একটি অ্যাপ যুক্ত করে দিয়েছে। প্রতিসপ্তাহে সেখানে আমার অবস্থা তাদের জানাতে হবে, বেসিক কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। এর মাধ্যমে তারা বুঝবে তাদের সাবজেক্ট কেমন আছে।

তিনি বলেন, ‘আমি আসলে নিজের অসহায়ত্বের জায়গা থেকে যুক্ত হয়েছি। কোভিড রোগীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। কেবল অসহায়ের মতো মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছি- ভালো হয়ে যাবে। সেই অসহায়ত্বের জায়গা থেকে মনে হয়েছে এর মাধ্যমে যদি বিজ্ঞানকে সহায়তা করতে পারি’।

তিতাস মাহমুদের দুই ছেলে। ‘পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠবে ভেবে আমি আগে থেকে কিছু জানাইনি। কিন্তু যখন আমি ট্রায়ালে অংশ নিয়েছি জানালাম তারা এটিকে কোনোভাবেই অনুৎসাহিত করেননি। আমার মা, স্ত্রী সবাই খুব স্পোর্টিংলি নিয়েছেন’।

তিতাস মাহমুদ জানান, এই ২৬-২৭ পাতার শর্তাবলী আসলে আমার সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের করণীয় বিষয়ে জানানো। আমি স্বেচ্ছায় ট্রায়ালে যুক্ত হচ্ছি বলার পাশাপাশি আমি যেকোনও সময় চাইলে যেকোনও স্তরে গবেষণাটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারি, আমার কোনও কাজে সেটির প্রভাব পড়বে না।

‘বলা আছে- ভ্যাক্সিনটি সিন্থেটিক, ল্যাবে তৈরি, ফলে এখানে থেকে করোনা হবে না। কিন্তু আক্রান্ত হলে সেটা কি রকম রিঅ্যাক্ট করবে সেটি জানা নেই, ক্ষতি হতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। আমার সব তথ্য গোপন থাকবে। তবে অন্য কোনও কারণে আমার নিজস্ব চিকিৎসক যদি আমার শারীরিক কনডিশন জানতে চান, তাহলে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে গবেষণা থেকে মুক্ত করে আমার তথ্য চিকিৎসককে দিয়ে দেওয়া হবে। যদি কখনও সাবজেক্টের মনে হয় তার সঙ্গে ন্যায় হচ্ছে না, সে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে। আর নারীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ট্রায়াল শুরুর ছয় মাসের মধ্যে কোনোভাবেই অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়া যাবে না, পুরুষেরা কোথাও তাদের স্পার্ম দান করতে পারবেন না’।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..